.
উত্তর: ‘মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলা হারাম’—কথাটি ঢালাওভাবে ঠিক নয়।
.
‘মুবাহ’ তথা যেসব দুনিয়াবি কথা মসজিদের বাইরে বৈধ, সেগুলোর বিধান হলো, নামায বা অন্য কোনো ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করলে, অন্যের ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে প্রসঙ্গক্রমে টুকটাক দুনিয়াবি কথাবার্তা বলতে সমস্যা নেই। তবে উত্তম হলো মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তা না বলে ইবাদত-বন্দেগি ও যিকির-তিলাওয়াতে মশগুল থাকা।
.
পক্ষান্তরে দুনিয়াবি আলাপচারিতার উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করা বা অবস্থান করা নিষেধ। -রদ্দুল মুহতার: ১/৬৬২
.
এমনিভাবে মসজিদে হৈহুল্লোড় ও শোরগোল করাও নাজায়েয। আর যদি একারণে অন্যের ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটে, তবে তা আরও নিন্দনীয়।
.
সহীহ বুখারীতে এসেছে,
.
عن السائب بن يزيد، قال: كنت قائما في المسجد فحصبني رجل، فنظرت فإذا عمر بن الخطاب، فقال: اذهب فأتني بهذين، فجئته بهما، قال: من أنتما – أو من أين أنتما؟ – قالا: من أهل الطائف، قال: لو كنتما من أهل البلد لأوجعتكما، ترفعان أصواتكما في مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم. -صحيح البخاري (470)
.
“সায়িব বিন ইয়াযিদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মসজিদে নববীতে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমার দিকে একটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলো। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি উমর ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বললেন, যাও, এ দুজনকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাদের নিয়ে এলাম। তিনি বললেন, তোমরা কারা? অথবা তিনি বললেন, “তোমরা কোন এলাকার লোক?” তারা বললো, “আমরা তায়েফের অধিবাসী।” তিনি বললেন, “তোমরা যদি মদীনার কেউ হতে, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলছো!” –সহীহ বুখারী: ৪৭০
.
উল্লেখ্য, মিথ্যা, গীবত, চোগলখুরি ইত্যাদি যেসব কথা মসজিদের বাইরে বলা হারাম, সেসব কথা যে মসজিদে বলা আরও জঘন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
.
فقط، والله تعالى أعلم بالصواب
.
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
.
১৯-০৪-১৪৪৬ হি.

২৩-১০-২০২৪ ঈ.