উত্তর : ১) ক. নগদ, রকেট ও বিকাশ এর পক্ষ থেকে ইন্টারেস্ট হিসাবে যে টাকা পার্সোনাল ওয়ালেট/এজেন্ট ওয়ালেটে যোগ হয়,সেটা সুদ।আর সুদ খাওয়া হারাম।
খ. বিকাশের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলো যে, ১০০ টাকা বিকাশ অ্যাপ থেকে রিচার্জ করলে ২০ টাকা ক্যাশব্যাক/ফেরত দেওয়া হবে।এই ক্যাশব্যাক সুদ।
কারণ বিকাশ কোম্পানিতে ওয়ালেট/অ্যাকাউন্ট ওপেন করার মধ্য দিয়ে বিকাশ কোম্পানি ইসলামি শরিয়াহ এর দৃষ্টিতে "মুস্তাকরিজ" বা ঋণগ্রহীতা হয়।আর "মুস্তাকরিজ" থেকে শর্তের ভিত্তিতে কিংবা প্রচলনের (উরফ) ভিত্তিতে কোনো ধরনের প্রফিট কনজিউম/ভোগ করলে সেটা সুদ হয়।এজন্য এধরনের ক্যাশব্যাক ভোগ করা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।কারণ সুদ ইসলামে হারাম।
গ. পণ্য ক্রয় করে বিকাশের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট করলে যে ক্যাশব্যাক দেওয়া হয় সেটা সুদ।কারণ এই ক্যাশব্যাক পণ্য বিক্রেতা দেয় না।বরং বিকাশ কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।আর উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে,বিকাশ কোম্পানিতে ওয়ালেট/অ্যাকাউন্ট ওপেন করার মধ্য দিয়ে বিকাশ কোম্পানি ইসলামি শরিয়াহ এর দৃষ্টিতে "মুস্তাকরিজ" বা ঋণগ্রহীতা হয়।আর "মুস্তাকরিজ" থেকে শর্তের ভিত্তিতে কিংবা প্রচলনের (উরফ) ভিত্তিতে কোনো ধরনের প্রফিট কনজিউম/ভোগ করলে সেটা সুদ হয়।এজন্য পণ্য ক্রয় করে বিকাশের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট করার কারণে যে ক্যাশব্যাক অর্জিত হয়, সেটা সুদ।
২) প্রশ্নোল্লিখিত ক্যাশব্যাক সুদের অন্তর্ভুক্ত।এজন্য এটা ভোগ করা যাবে না।
"كل قرض جر منفعة فهو ربا"
←الجامع الصغير (4/153) برقم (4249)
←وقد دل على ذلك ما رواه ابن ماجه (2432) عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ : سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ الرَّجُلُ مِنَّا يُقْرِضُ أَخَاهُ الْمَالَ فَيُهْدِي لَهُ . قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( إِذَا أَقْرَضَ أَحَدُكُمْ قَرْضًا فَأَهْدَى لَهُ أَوْ حَمَلَهُ عَلَى الدَّابَّةِ فَلا يَرْكَبْهَا وَلا يَقْبَلْهُ ، إِلا أَنْ يَكُونَ جَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ قَبْلَ ذَلِكَ ) . حسنه شيخ الإسلام ابن تيمية في
"الفتاوى الكبرى" (6/159) .
←رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي صَحِيحِهِ (3814) عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قال : أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، فَقَالَ لِي : إِنَّكَ بِأَرْضٍ الرِّبَا بِهَا فَاشٍ ، إِذَا كَانَ لَكَ عَلَى رَجُلٍ حَقٌّ فَأَهْدَى إِلَيْكَ حِمْلَ تِبْنٍ أَوْ حِمْلَ شَعِيرٍ أَوْ حِمْلَ قَتٍّ فَلا تَأْخُذْهُ فَإِنَّهُ رِبًا . و (القَتّ) نبات تأكله البهائم .
←قال ابن القيم في "إعلام الموقعين" (3/136) : "وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَعْيَانِهِمْ (يعني الصحابة) كَأُبَيّ بن كعب وَابْنِ مَسْعُودٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلامٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُمْ نَهَوْا الْمُقْرِضَ عَنْ قَبُولِ هَدِيَّةِ الْمُقْتَرِضِ , وَجَعَلُوا قَبُولَهَا رِبًا" اهـ .
←قال الشوكاني في "نيل الأوطار" (6/257) :
"وَالْحَاصِلُ أَنَّ الْهَدِيَّةَ وَالْعَارِيَّةَ وَنَحْوَهُمَا إذَا كَانَتْ لِأَجْلِ التَّنْفِيسِ فِي أَجَلِ الدَّيْنِ (أي تأخير السداد) , أَوْ لأَجْلِ رِشْوَةِ صَاحِبِ الدَّيْنِ , أَوْ لأَجْلِ أَنْ يَكُونَ لِصَاحِبِ الدَّيْنِ مَنْفَعَةٌ فِي مُقَابِلِ دَيْنِهِ فَذَلِكَ مُحَرَّمٌ ; لأَنَّهُ نَوْعٌ مِنْ الرِّبَا أَوْ رِشْوَةٌ ، وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لأَجْلِ عَادَةٍ جَارِيَةٍ بَيْنَ الْمُقْرِضِ وَالْمُسْتَقْرِضِ قَبْلَ التَّدَايُنِ فَلا بَأْسَ , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لِغَرَضٍ أَصْلا فَالظَّاهِرُ الْمَنْعُ لإِطْلَاقِ النَّهْيِ عَنْ ذَلِكَ"
←الشرح الممتع (9/59)
←المغني (6/437)
←نصب الراية للزيلعي (4/130)
والله تعالى أعلم
উত্তর প্রদানে
আবদুর রহমান হোসাইনী
জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা ঢাকা
১৫/১০/২০২৪ ইংরেজি
সত্যায়নে
মুফতি মাসুম বিল্লাহ সাহেব
সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম (আকবর কমপ্লেক্স) ঢাকা।
সিনিয়র মুফতি ও মুশরিফ, মারকাজুল বুহুস আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা।
১৫/১০/২০২৪ইংরেজি