অমুসলিমকে সম্ভাষণ করার পদ্ধতি কি হবে? আদাবও নমস্কার বলার বিধান কি?

بسم الله الرحمن الرحيم
ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা। কোন বিধর্মীর সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেওয়া যাবে না। সালাম শুধু এক মুসলমান ভাই আরেক মুসলমান ভাইকেই দিতে পারে। তবে সে আগে সালাম দিয়ে ফেললে উত্তরে ‘অয়া আলাইকুম’ বা ইয়াহদীকুমুল্লাহ’ অথবা “আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে। তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে আদাব ও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)
উল্লেখ্য যে, সাধারন অবস্থায় কাফেরদেরকে নিজের থেকে সালাম দেওয়া জয়েয নয়। কিন্তু যদি এমন কোন বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দেয়, যখন সালাম দেওয়ার ভেতর দ্বীনী স্বার্থ হাসিলের আশা থাকে। তবে ‘আল্লাহ’ তাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে রাখুন’- এই নিয়তে কাফেরকে সালাম দেওয়ার অবকাশ আছে।
أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 ) عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام …
وأخرج البخارى (6258 ) ومسلم 6 ( 2163 ) عن أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال إذا سلم عليكم أهل الكتاب فقولوا وعليكم .
وفى رد المحتار ( ويسلم) المسلم ( على أهل الذمة ) لو له حاجة إليه وإلا كره هو الصحيح –فصل فى البيع.
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মাওলানা মুহসিনুদ্দীন খান
সহকারী গবেষক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।