উত্তর: অজু করার পর কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা মুস্তাহাব। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ما مِن مُسلمٍ يتَوضَّأُ فيُحسِنُ الوضوءَ ثمَّ يقولُ أشهدُ أن لا إلهَ إلَّا اللهُ وأشهدُ أنَّ محمَّدًا عبدُه ورَسولُه إلَّا فُتِحتْ لهُ ثمانيةُ أبوابِ الجنَّةِ يدخُلُ مِن أيِّها شاءَ

যে কোন মুসলিম ব্যাক্তি উত্তমরূপে অজু করার পর বলে (কালিমা শাহাদাত) ‘আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শারীক নাই, তিনি একক এবং আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল’; তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম ২৩৪ ইবনু মাজাহ ৪৭০)

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ‌ثُمَّ ‌رَفَعَ ‌نَظَرَهُ ‌إِلَى ‌السَّمَاءِ

যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলবে…(মুসনাদে আহমাদ ১২১)

তাই সম্ভব হলে এর উপর আমল করা ভালো। না করলেও অসুবিধা নেই। তাছাড়া আকাশের দিক মানে উপরের দিক। সুতরাং উপরের তাকিয়ে পড়লেই হবে। এক্ষেত্রে আকাশ দেখা যাওয়া জরুরি নয়। শাহাদাত আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরাও জরুরি নয়।

والله اعلم بالصواب