প্রশ্নঃ
কেউ যদি আযান শুনেও মসজিদে না যায়, বাসাতেই সালাত পড়ে নেয়। তার কি সালাত হবে?
প্রশ্নকারী- মাহিদ আল হোসাইন
উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তে জামাআতের গুরুত্ব অনেক। এক হাদীসে এসেছে,
أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال ( صلاة الجماعة تفضل صلاة الفذ بسبع وعشرين درجة ). صحيح البخاري (1/ 231)، الرقم: 619، ط. دار ابن كثير ، اليمامة – بيروت
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জামাআতের সালাত, একাকী সালাতের তুলনায় সাতাশগুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ।” –সহীহ বুখারী : ৬১৯
এছাড়া জামাআতের ব্যাপারে অসংখ্য হাদীসে অনেক কঠিন তাকীদ এসেছে। যারা জামাআতে শরীক না হয়ে ঘরে সালাত আদায় করে, তাদের সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
والذي نفسي بيده لقد هممت أن آمر بحطب فيحطب ثم آمر بالصلاة فيؤذن لها ثم آمر رجلا فيؤم الناس ثم أخالف إلى رجال فأحرق عليهم بيوتهم -صحيح البخاري، باب: وجوب صلاة الجماعة، رقم: 618؛ ط. دار ابن كثير، اليمامة – بيروت؛ تحقيق: د. مصطفى ديب البغا
لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّىَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِى بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ ». -صحيح مسلم للنيسابوري (2/ 123)، الرقم: 1514، ط. دار الجيل بيروت + دار الأفاق الجديدة ـ بيروت
“আমার ইচ্ছা হয়, সালাতের আদেশ দেই। ইকামাত হয়ে গেলে একজনকে বলি ইমামতি করুক। এরপর আমি লাকড়ির আঁটিসহ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে ওইসব লোকের বাড়ি গিয়ে তাদের ভেতরে রেখেই ঘরগুলো জ্বালিয়ে দেই, যারা জামাআতে হাজির হয় না।” –সহীহ মুসলিম : ১৫১৪, সহীহ বুখারী : ৬১৮
অন্য হাদীসে এসেছে,
“لقد هَمَمتُ أن آمُرَ فِتيتي فيجمعوا حُزَماً من حَطَبٍ، ثمَّ آتيَ قوماً يُصلُّونَ في بُيوتهم ليست بهم عِلَّةٌ فأُحرِّقَها عليهم”. –سنن أبي داود ت الأرنؤوط (1/ 411)، الرقم: 549، قال المحققون: حديث صحيح. اهـ
“আমার ইচ্ছে হয়, আমার যুবকদের লাকড়ির আঁটি জমা করতে আদেশ দেই। এরপর যেসব লোক কোনো ওজর ছাড়াই ঘরে সালাত পড়ে, তাদের নিকট গিয়ে তাদের ভেতরে রেখেই ঘরগুলো জ্বালিয়ে দেই।” –সুনানে আবু দাউদ : ৫৪৯
এরকম আরও অনেক হাদীস এসেছে। দেখুন সহীহ বুখারী : ২২৮৮; সহীহ মুসলিম : ১৫১৪, ১৫১৯, ১৫২০; সুনানে আবু দাউদ : ৭৯২
এসব হাদীসের ভিত্তিতে ওলামায়ে কিরাম বলেছেন, শরয়ী কোনো ওজর ছাড়া কেউ ফরয সালাত একাকী পড়লে জামাআতের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে এবং গুনাহগার হবে। যদি কেউ জামাআত ত্যাগে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তার কবীরা গুনাহ হবে। তবে সর্বাবস্থায় তার সালাত সহীহ হয়ে যাবে। -আরও দেখুন ফাতহুল কাদীর : ১/৩৪৭, ফাতাওয়া আব্দুল হাই লৌখনবী : ৩০৭
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
১৩-১১২০২৪ ঈ.
#উচ্চতর #ইসলামী #আইন #গবেষণা #বিভাগ #ফাতওয়া