অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবকেন্দ্রিক
১৩টি জরুরি মাসআলা
১. অমুসলিমদের পূজায় শুভেচ্ছা জানানো জায়িয নয়। এটি ঈমানবিধ্বংসী আচরণ।
২. অমুসলিমদের পূজায় চাঁদা দেওয়া হারাম। কিন্তু মানবিক প্রয়োজনের মাসআলা ভিন্ন। দুর্যোগ কবলিত হলে তাদের অনুদান দেওয়া জায়েয।
৩. কোনো মাসলাহাত (প্রজ্ঞাপূর্ণ কারণ) ছাড়া পূজায় উপস্থিত হওয়া নাজায়েয। এটি আল্লাহর ক্রোধের কারণ।
৪. অমুসলিমদের জবাইকৃত হাস, মুরগি, খাসি, কবুতর ইত্যাদি খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। এটি কুরআন-হাদীসের আলোকে সুস্পষ্ট প্রমাণিত।
৫. দেবতার উদ্দেশ্যে দেবীর বেদিতে বলিকৃত পশু মারাত্মক হারাম।
৬. দেবীর বেদিতে পরিবেশিত মিষ্টান্ন, প্রসাদ, নাড়ু, সন্দেশ খাওয়া নাজায়েয। এমনকি এ উপলক্ষে তৈরিকৃত নাশতা ইত্যাদি খাওয়াও উচিত নয়।
দারুল উলূম দেওবন্দ, জামিয়া বিন্নুরিয়া, মারকাযুদ্দাওয়াহসহ উপমহাদেশের প্রায় সকল দারুল ইফতার এটাই ফতওয়া। সৌদী আলিম শাইখ সালিহ আলফাউযানের ফতওয়াও অভিন্ন।
৭. ফ্যাসাদ প্রতিরোধের উদ্দেশ্য ছাড়া এসব মণ্ডপ পাহারা দেওয়া জায়িয নয়।
৮. যেসব জিনিস কেবলমাত্র অমুসলিমদের পূজা ও উৎসবের কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন পটকা, টায়রা, শাঁখা ইত্যাদি, সেগুলোর ব্যবসা করা বা সরবরাহ করা মুসলিমদের জন্য জায়িয নয়।
৯. অমুসলিমদের দেখাদেখি পটকা ফোঁটানো বা তাদের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের মত আচরণ করা না-জায়েয।
১০. অমুসলিমদের কাছ থেকে তাদের ধর্মীয় প্রতীক বা চিহ্ন গ্রহণ করা, যেমন কপালে সিঁদুর, চন্দনতিলক, পৈতা, ক্রুশ গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম! প্রসন্নচিত্তে গ্রহণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১১. মুসলিমদেশে অমুসলিমদের পূজামণ্ডপে আক্রমণ করা বা তাতে বাধা সৃষ্টি করা না-জায়েয।
১২. বিধর্মীদের পূজানুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করা ও গজল পরিবেশন করা নাজায়েয।
১৩. দেবদেবীর গুণকীর্তণমূলক কিংবা ধর্মের প্রশস্তিমূলক বিবৃতি দেওয়া হারাম ও কুফর।
© মুফতী Saifuddin Gazi
(ঈষৎ সম্পাদিত)
১১.১০.২৪