নকল করে পাশ করে চাকরি নিলে তা কি বৈধ হবে?

আমি পলিটেকনিক্যাল থেকে একটি টেকনোলজির উপর চার বছর মেয়াদি কোর্স করেছি। এখানে প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার করে মোট আটটি সেমিস্টার রয়েছে। এই আট সেমিস্টারের মাঝে অনেক সেমিস্টারেই আমি হয় আগেই প্রশ্ন পেয়ে গিয়েছি, না হয় নকল করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন আমার প্রশ্ন হলো;

ক। এখান থেকে আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি, সেটি দিয়ে কোনো চাকরি নেওয়া কি আমার জন্য বৈধ হবে?

খ। চাকরি নেওয়ার পূর্বে এই বিষয়টি কি প্রতিষ্ঠানকে জানানো জরুরি? না জানালে কি সত্য গোপন করা হবে এবং তাদের ওপর জুলুম করা হবে?

গ। বিষয়টি না জানিয়ে চাকরি নিলে উপার্জন কি বৈধ হবে?

বিষয়গুলো সম্পর্কে শরীয়তের বিধান ও আমার কী করণীয়, তা জানালে অনেক উপকৃত হবো।

প্রশ্নকারী-জহির হাসান

উত্তর:

নকল করা আমানতের খেয়ানত ও ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত। নকল করার কারণে আপনার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা ও ইস্তেগফার করা জরুরি। তবে আপনি চাকরিতে যোগদান করে যে কাজ করবেন, তার বাস্তব যোগ্যতা যদি আপনার থাকে এবং আপনি তা যথাযথভাবে আঞ্জাম দিতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য চাকরি ও উপার্জন দুটোই বৈধ হবে। প্রতিষ্ঠানকে নকল করে পাস করার বিষয়টি জানাতে হবে না।-আহসানুল ফাতাওয়া: ৮/১৯৪ ও ১৯৮; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল: ৭/২৯৯-৩০০; জাদিদ ফিকহি মাসায়েল: ১/২৭৬; কিতাবুন নাওয়াযেল: ১৬/৩৮৬; আল-ইসলাম, সুওয়াল ও জাওয়াব, প্রশ্ন নং: ২৭৯১২৯

والله تعالى أعلم بالصواب

মুফতি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

 

১৪-১২-২০২৪ ঈ.