প্রিয় ভাই বোন। 
১/
সন্তানের আকীকার দ্বারা মূল মাকসাদ হল, সন্তান থেকে বিপদ আপদ দূর করা। সুতরাং যে সন্তান মারা গেছে তার ক্ষেত্রে যেহেতু এ বিষয়টি বাকি থাকে না। তাই মৃত সন্তানের জন্য আকীকা করার কোন প্রয়োজন নেই।

তবু যদি করে, তাহলে আকীকা হবে। কিন্তু মূল মাকসাদ বাকি থাকে না।
سَلْمَانُ بْنُ عَامِرٍ الضَّبِّيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَعَ الغُلاَمِ عَقِيقَةٌ، فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا، وَأَمِيطُوا عَنْهُ الأَذَى»

সালমান ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে আকীকা করতে হবে অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (পশু যবেহ করো) এবং তার থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত দূর করো। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৪৭১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬৪]

عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ غُلَامٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ، تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ، وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ، وَيُسَمَّى»

সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৬৫

২/
আর নবজাতকের কানে কী কারণে আজান দেওয়া হয় এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। কেউ কেউ লিখেছেন, শিশুর কানে আজান-ইকামত দেওয়ার অর্থ হলো তাকে এই কথা বলে দেওয়া যে আজান-ইকামত হয়ে গেছে, এখন শুধু নামাজের অপেক্ষা (নামাজ শুরু হতে সামান্য বিলম্ব, তা-ই তোমার জীবন)।

হজরত থানভী রহ. বলেন, ‘আজান-ইকামতের মাধ্যমে শিশুর কানে প্রথমেই আল্লাহর পবিত্র নাম পৌঁছে দেওয়া, যেন তার প্রভাবে তার ঈমানের ভিত্তি মজবুত হয়ে যায় এবং শয়তান দূরে সরে যায়। এই দুটি হিকমতেরই সারমর্ম হলো দুনিয়াতে আসার পর তুমি আল্লাহকে ভুলে গাফেল হয়ে থেকো না। (তরবিয়তে আওলাদ, হজরত থানভী রহ.)
সুতরাং দ্বিতীয় নাম্বার প্রশ্নের উত্তরেও বুঝা যায় মৃত শিশুর কানে আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

মুফতি Mohammad Abujor- বোরহানী